সুধীর চক্রবর্তীর মৃত্যু বার্ধক্যজনিত কারণে । তিনি ৮৬ বছর বেঁচেছিলেন। এই বয়স অবধি বাঁচা তো চমৎকার। তাঁর মৃত্যুতে আমি হাহাকার করছি না।
সুধীর চক্রবর্তী ছিলেন লোকসংস্কৃতি গবেষক। বাংলার প্রত্যন্ত গ্রামে গ্রামে ঘুরে সংগ্রহ করেছেন বিভিন্ন লোকসম্প্রদায়ের গান। প্রচুর গ্রন্থের রচয়িতা তিনি। গ্রন্থ না বলে অমূল্য সম্পদই বলা চলে। তিনি বাংলার লোকজ শিল্প খুঁড়ে খুঁড়ে এত বের করে এনেছেন যে আমাদের শুধু বিস্মিতই করেননি, সমৃদ্ধও করেছেন। হাহাকার আমার অন্য একটি কারণে। সুধীর চক্রবর্তীর মতো লোকসংস্কৃতির গবেষক কি বাঙালির নতুন প্রজন্মের মধ্যে পাওয়া যাবে? আমার আশংকা, পাওয়া যাবে না।
এর মূল কারণ, এখন অল্প বয়সী যারা, যারা বাংলার ভবিষ্যত, তাদের অধিকাংশেরই বাংলা ভাষা এবং সংস্কৃতি নিয়ে কোনও আগ্রহ নেই, লোকসংস্কৃতি নিয়ে তো আরও নেই। ভালোবাসা না থাকলে যা হয়, ভাষা এবং সংস্কৃতি দিন দিন শুকিয়ে যেতে থাকে। শুকোতে শুকোতে এক সময় মরে যেতে থাকে।